ছবি: বেঙ্গল ফাউন্ডেশন
ঢাকা : দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় তৈরী হওয়া নিরাপত্তা ঝুঁকির কাছে হার না মেনে একে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের।
পঞ্চমবারের মতো ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’ আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরতে সোমবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন তিনি।
দেশের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই উৎসব।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল খায়ের বলেন, ‘এবছর নানা অস্থিরতায় বড় পরিসরের উৎসব আয়োজন নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছিল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনুধাবন করে সরকারি উদ্যোগে গত মাসে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত নিজে এই আয়োজনের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। সভায় উৎসব আয়োজনের পক্ষে সরকারি বিভিন্ন মহলের আগ্রহ ও অঙ্গীকার আমাদের মুগ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মরতে তো একদিন হবেই-এসবের (জঙ্গিবাদ) কাছে কেন হার মানবো। ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা হয়েছে। ছায়ানট কী বন্ধ করেছে?’
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০-২৫ বছর আগে আমরা শুরু করেছিলাম। আর্টের যতো ফর্ম আছে, সব কিছুর সাথে আমরা জড়িত। মিউজিক হচ্ছে আর্টের সবচেয়ে বড় ফর্ম। সংগীত মনকে শুদ্ধ করার জন্য। আমি আশা করি সংগীতসহ আর্টের সব ফর্মের একটি বিপ্লব হবে। এর ভিতর দিয়ে আমরা শুদ্ধ থেকে শুদ্ধ হবো।’
আগের বছরগুলোর মতোই ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’ আয়োজনের সহযোগি স্কয়ার গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা আজকে গর্ব করে বলতে পারি-বাংলাদেশে এই উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব শুরু করেছিল, যা এখন বিশ্বে এক নম্বর। আমরা এই আয়োজনে থাকতে পেরে আনন্দিত-গর্বিত।’
আয়োজনের আরেক সহযোগি ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন জারা মাহবুব বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংক মূল্যবোধভিত্তিক ব্যাংককিং করে। আমরা ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব’র মতো আয়োজনে থাকতে পেরে আনন্দিত।’
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. আবুল মোমেন বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত না করতে পারলে উন্নয়নে ফারাক থেকে যাবে। আমরা যদি আলোকিত মানুষ না হই-তা হলে জঙ্গিবাদ চিরকালের জন্য বিদায় নেবে না।’
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব আয়োজনের ধারাবাহিতায় সন্তোষ জানিয়ে আয়োজক বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘এটা গর্বের বিষয় এজন্য যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান এবং যারা এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে সবগুলো দেশেরই প্রতিষ্ঠান।’
বহুমাত্রিক.কম